সিজদার ব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্য Sijdar bekkha abong uddessho.

আদমকে সৃষ্টি করার আগেই আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে আদমের প্রতি সিজদা করার কথা বলে দিয়েছিলেন (হা-মীম সাজদাহ/ফুছসালাত ৪১/১১) তাছাড়া কুরআনের বর্ণনা সমূহ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, আদমকে সিজদা করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ ব্যক্তি আদম হিসাবে ছিল না, বরং ভবিষ্যৎ মানব জাতির প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে তাঁর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য জিন ফিরিশতাদের সিজদা করতে বলা হয়েছিল এই সিজদা কখনোই আদমের প্রতি ইবাদত পর্যায়ের ছিল না বরং তা ছিল মানবজাতির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন তাদেরকে সকল কাজে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দানের প্রতীকী সম্মান সূচক সিজদা মাত্র


 

ওদিকে কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত লেও ইবলীস কিন্তু আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা হিসাবে অস্বীকার করেনি বরং আল্লাহ যখন তাকেঅভিসম্পাৎকরে জান্নাত থেকে চিরদিনের মত বিতাড়িত করলেন, তখন সে আল্লাহ্কেরবহিসাবেই সম্বোধন করে প্রার্থনা করল,

قَالَ رَبِّ فَأَنظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ-

হে আমার প্রভু! আমাকে আপনি ক্বিয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দিন’ (হিজর ১৫/৩৬, ছোয়াদ ৩৮/৭৯) আল্লাহ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন অতঃপর সে বলল, ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তেমনি তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানারূপ সৌন্দর্যে প্রলুব্ধ করব এবং তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে দেব তবে যারা আপনার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদের ব্যতীত’ (হিজর ১৫/৩৪-৪০; ছোয়াদ ৩৮/৭৯-৮৩) আল্লাহ তাকে বললেন, তুমি নেমে যাও এবং এখান থেকে বেরিয়ে যাও তুমি নীচুতমদের অন্তর্ভুক্ত এখানে তোমার অহংকার করার অধিকার নেই’ (রাফ /১৩) উল্লেখ্য যে, ইবলীস জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত লেও মানুষের রগ-রেশায় ঢুকে ধোঁকা দেওয়ার বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা আল্লাহ তাকে দিয়েছিলেন[11] আর এটা ছিল মানুষের পরীক্ষার জন্য শয়তানের ধোঁকার বিরুদ্ধে জিততে পারলেই মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতে পারবে এবং আখেরাতে জান্নাত লাভে ধন্য হবে নইলে ইহকাল পরকালে ব্যর্থকাম হবে মানুষের প্রতি ফেরেশতাদের সিজদা করা ইবলীসের সিজদা না করার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে বিষয়ে যে, মানুষ যেন প্রতি পদে পদে শয়তানের ব্যাপারে সতর্ক থাকে এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখে

 



© Arefin Masuk. All rights reserved. Premium By FC Themes