Class 9 (10th Week) Assignment Answer 2021

Class 9 Assignment Answer 10th week all Subject all board students download the assignment class nine has been published. This Class 9 Assignment syllabus has been published by the Department of Secondary and Higher Secondary Education. According to this syllabus, students of class IX have to prepare assignments. According to the syllabus, assignment activities for all high school students 9 Assignment answer PDF download.

 


 

Class 9 Assignment

class 9 assignment, class 9 assignment 2021, 10th Week class 9 assignment, 9th class 9 assignment, class 9 assignment answer, class 9 assignment all subject, class 9 assignment PDF, class 9 assignment 2022,

Are you worried about the Class 9 Assignment 10th Week answer? Don’t worry we. By reading this post, you will learn about the assignment of class 9 and we already prepared Class 6 All subject Assignment Answer all Subject

Every Students of Class nine Assignment Answer all Subject So read our entire post carefully to know all the information about assignment syllabus here. The High School Class nine Assignment answers have been discussed in detail here dshe.gov.bd. Nine assignment Subject wise solution download and image file upload for Class 9 Assignment Answer.

Class 9 Assignment Answer All subject

Class nine Assignment Answer all educational institutions shutdown for a long time. So our Education ministry give assignments for all classes. Bangla, English, mathematics, ICT, Global and Bangladesh, Computer, Agriculture, Accounting, Physics, chemistry and biology. All Group class nine students Science, Commerce and Arts students found class 9 assignment answer.

Class 9 Assignment Answer pictures and PDF. So you can easily download your assignment syllabus from here. Students all subject assignment download very easy way they download class 9 assignment answer.

Covid-19 all school and college are shutdown so students study online exam way. Now Our Education Minister and Govt taken class 9 assignment to all School in Bangladesh. Download School Assignment for all students Class 9 English, Math, BGS, Science and other group assignment.

DSHE published class 9 10th week assignment question solution download for ssc batch 2023. Every students they download her assignment with solution.

Class 9 Assignment 10th Week all Subject

Class 9 Career Education 10th Week Assignment answer upload on here. Every students they found here all week assignment and upcoming 11th week assignment answer download.

Career Education (sharirik shikkha) assignment published for class – 9 students. Class 9 Quentin download for solution you can found all week assignment solution.

class 6 career education 10th week Class 9 (10th Week) Assignment Answer 2021

১। তােমার বাবা ও মায়ের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে কোনটি বৃত্তি এবং কোনটি পেশা তা নির্ধারণ করে নির্ধারণ করে ছকে লিখ।

২। তুমি ভবিষ্যতে কী হতে চাও? কেন? তােমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন পূরণে কী কী যােগ্যতা অর্জন করতে হবে বলে তুমি মনে কর তা লিপিবদ্ধ কর।

৩। তুমি যখন দলবদ্ধ হয়ে কাজ করবে বা খেলবে তখন কোন কোন বিষয়গুলাে খেয়াল রাখবে? এতে তুমি কী কী সুবিধা পাবে?

10th week assignment not published for lock down after 14th July Class nine new week assignment will be published. We are update when dshe announced 10th week assignment on dshe.gov.bd.

Class 9 Islam Shikkha subject solution 10th week so students they download her islam dharmo subject ans.

Islam and Moral Exudation Assignment 10th week

class 9 islam 10th week Class 9 (10th Week) Assignment Answer 2021

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ

“প্রকৃতি ও বিশ্বজগতের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা” শিরােনামে তােমার পাঠ্য বইয়ের ভিত্তিতে এবং কুরআন ও সুন্নাহর আলাে কে একটি নিবন্ধ রচনা কর। (সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ)

সংকেতঃ

তাওহিদের পরিচয়

সৃষ্টি জগতের বাস্তব উদাহরণ

আল কুরআন ও সুন্নাহর প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি

Class 9 Krishtan Subject Assignment 10th week 2021 every students they found her class 9 10th week assignment question and solution.

class 9 khristan 10th week Class 9 (10th Week) Assignment Answer 2021

Class 9 Hundu Dharmo 10th Week assignment download.

class 9 hindu 10th week Class 9 (10th Week) Assignment Answer 2021

This Content helpful to this students they search Class 9 Assignment Solution 2021. Students download Assignment Answer last wee given DSHE website. Students now all subject assignment answer we are update all school assignments.

So our Education ministry give assignments for all classes. Bangla, English, mathematics, ICT, All Subject Class Nine Assignment answer Download Global and Bangladesh, Computer, Agriculture, Accounting, Physics, chemistry and biology. All Group class nine students Science, Commerce and Arts students found assignment answer.

Every students who study in class nine they now download he 10th week Assignment. 10th Week class nine asignmnet question download and print from here.

Class 9 All subject assignment pictures and PDF. So you can easily download your assignment syllabus from here Students Class JSC Assignment and Class Nine Assignment Download. Students online class Shongsod TV routine every students in Bangladesh the attend this online class. Covid-19 Lock down all school class off only online calss now students do her class assignment to all Students.

Class 9 Assignment Answer 2021

Class Nine Science Subject assignment solution download form here. Bangladesh all school of class 9 they download her assignment with solution. Class 9 Science subject rights answer question today published.

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রশ্ন 

নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান সমাধান ১ম সপ্তাহ ২০২১ পেতে এই পোস্টটি অনুসরণ করুন নবম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছ। 

৯ম শ্রেণিসহ সকল শ্রেনির সকল বিষয়ের এসাইনমেন্ট পেতে এই সাইটের সাথে থাকুন।

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ১ম সপ্তাহ ২০২১

শ্রেণিঃ নবম

বিষয়ঃ বিজ্ঞান

বিভাগঃ মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ প্রথম অধ্যায়: উন্নততর জীবনধারা

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ 

১.১ খাদ্য ও পুষ্টি।

১.১.১ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট

১.১.২ আমিষ বা প্রােটিন।

১.১.৩ স্নেহ পদার্থ বা লিপিড।

১.৪.১ খাদ্য সংরক্ষণ।

১.৩.২ উন্নত জীবন যাপনের জন্য খাদ্য উপাদান বাছাই।

১.১.৪ খাদ্য প্রাণ বা ভিটামিন।

১.১.৫ খনিজ পদার্থ এবং পানি।

১.১.৬ রাফেজ বা আঁশ।

১.২ বডিমাস ইনডেক্স।

১.৪.২ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ও এর শারীরিক প্রতিক্রিয়া।

১.৫ তামাক ও ড্রগস।

১.৬ ড্রাগ আসক্তি।

১.৭ এইডস।

১.৮ স্বাস্থ্য রক্ষায় শরীরচর্চা এবং বিশ্রাম।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ

১। বৃহস্পতিবার প্রমার আম্মু চাল, ডাল, উদ্ভিজ্জভােজ্য তেল, সবজি এবং মাংস মিশিয়ে খিচুড়ি রান্না করলেন। বিকেলে প্রমা পেয়ারা খেতে খেতে তার আব্বকে বললাে যে কাল তারা বাইরে বেড়াতে যাবে এবং বাইরে খাবে। কথামত শুক্রবারে তারা বাইরে গিয়ে দুপুরে ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন, সফট ড্রিংক এবং বিকেলে বার্গার খেলাে।

  • ক) প্রমার গৃহীত খাবারগুলাের মধ্যে কোন খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ?
  • খ) উল্লেখিত খাবারগুলাের মধ্যে কোন খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস ও কোন কোন খাবার প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া তা ছকের মাধ্যমে দেখাও।
  • গ) বৃহস্পতিবার প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড এঁকে উপস্থাপন কর।
  • ঘ) প্ৰমার স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন দিনের খাবারটি অধিকতর সহায়ক? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর।

২। শিক্ষার্থী হিসেবে তােমার ২৪ ঘন্টার একটি রুটিন তৈরি কর এবং সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে উপস্থাপন কর।

  • ক) তিনবেলার খাবার, টিফিন ও বিকালের নাস্তা
  • খ) বিশ্রাম (ঘুম) ও শরীর চর্চা
  • গ) সারাদিনের কার্যাবলী (পড়ালেখা, ঘরের কাজ, বাইরের কাজ ইত্যাদি)
  • ঘ) খেলাধুলা (বাড়িতে)
  • ঙ) প্রার্থণা
  • চ) অবসর

নির্দেশনাঃ

  • পাঠ্যবইয়ের সহায়তা নিতে পারে;
  • চিত্র হাতে আঁকতে হবে;
  • সাদাকালাে বা রঙ্গিন যে কোনটি হতে পারে;
  • প্রতিটি বিষয় নির্বাচনের কারণ ব্যাখা করতে হবে;
  • দৈনিক রুটিন যাতে সার্বিক সুস্বাস্থ্যের সহায়ক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে;
  • একটি নমূনা উত্তর দেখুন: বিভিন্ন খাবারের উৎস, খাদ্য পিরামিড, স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক খাদ্য ও শিক্ষার্থীর হিসেবে একটি নমূনা রুটিন

মূল্যায়ন

অতি উত্তম:

  • ১. অঙ্কনের নান্দনিকতা, সঠিকতা, চিহ্নিতকরণ
  • ২. নির্ভুল তথ্যের উপস্থাপনা, সঠিক যুক্তি প্রদান পাঠ্যপুস্তকের সাথে সম্পূর্ন সঙ্গতিপূর্ণ
  • ৩. বিষয়বস্তুর গভীরতা পূর্ণমাত্রায়
  • ৪. চিত্র পরিপূর্ণ মাত্রায় সঠিক

উত্তম:

  • ৫. অঙ্কনের সঠিকতা, চিহ্নিতকরণ
  • ৬. নির্ভুল তথ্যের উপস্থাপনা, সঠিক যুক্তি প্রদান পাঠ্যপুস্তকের সাথে অধিকাংশ সঙ্গতিপূর্ণ
  • ৭. বিষয়বস্তুর গভীরতা অধিকাংশ
  • ৮. চিত্র ও চিহ্নিতকরণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সঠিক

ভালো:

  • ১. অঙ্কনের সঠিকতা।
  • ২.নির্ভুল তথ্যের উপস্থাপনা, সঠিক যুক্তি প্রদান পাঠ্যপুস্তকের সাথে আংশিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ
  • ৩. বিষয়বস্তুর গভীরতা কম
  • ৪. চিত্র ও চিহ্নিতকরণে অসঙ্গতি

অগ্রগতি প্রয়ােজনঃ

  • ১. অঙ্কনে সঠিকতার অভাব
  • ২. তথ্যের উপস্থাপনা, সঠিক যুক্তি প্রদান পাঠ্যপুস্তকের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ
  • ৩. বিষয়বস্তুর গভীরতা নেই
  • ৪. চিত্র ও চিহ্নিতকরণ ভুল

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর ১ম সপ্তাহ ২০২১

১ এর ‘ক’ প্রশ্নের উত্তর

 প্রমার গ্রহীত খাবারগুলোর মধ্যে ভিটামিন E  সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল।

১ এর ‘খ’ প্রশ্নের উত্তর

উল্লেখিত খাবারগুলোর মধ্যে কোন খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস ও কোন কোন খাবার প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায় তা নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো

উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে প্রাপ্ত খাবার

১. চাল

২. ডাল

৩. উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল

৪. সবজি

৫. পেয়ারা

৬. ফ্রাইড রাইস

৭. সফট ড্রিংক

৮. বার্গার বান

প্রাণিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত খাবার

১. মাংস

২. ফ্রাইড চিকেন

৩. বার্গারের মাংস

১ এর ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর

বৃহস্পতিবার প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড নিচে দেওয়া হলো।

১ এর ‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তর

উদ্দীপকে আলোচিত প্রমার বৃহস্পতিবারের খাবারগুলো হলো চাল, সবজি, পেয়ারা, ডাল, মাংস, উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল। যেকোনো একটি সুষম খাদ্যতালিকায় শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ , আমিষ ও স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাদ্য এবং ফাইবার অন্তর্ভুক্ত থাকে। একজন কিশোর বা কিশোরী, প্রাপ্তিবয়ষ্ক একজন পুরুষ বা মহিলার সুষম শর্করাকে নিচে রেখে পরিমাণগত দিক বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে শাকসবজি, ফলমুল, আমিষ এবং স্নেহ ও চর্বিজাতীয় খাদ্য সাজালে যে কাল্পনিক পিরামিড তৈরিহয়, তাকে আদর্শ খাদ্য পিরামিড বলে । গ-এর চিত্রে এই পিরামিডের সবচেয়ে উপরে রয়েছে স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাদ্য আর সবচেয়ে নিচে রয়েছে শর্করা.

উদ্দীপকে আলোচিত প্রমার শুক্রবারের খাবারগুলো হলো ফাস্টফুড। ফাস্টফুড হচ্ছে এমন এক ধরনের খাবার যার স্বাস্থ্যগত গুণাগুণ বিচার না করে তার মুখরোচক স্বাদের গুণাগুণ বিচার করে উৎপাদন করা হয়। ফাস্টফুড খেতে খুব মজা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য এটা ক্ষতিকর। এটি মানুষের মুখরোচক ও সুস্বাদু করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে বিভিন্ন প্রকার প্রাণিজ চর্বি ও চিনি থাকে। বার্গার, ক্রিসপে (মচমচ ভাজা খাবার) প্রাণিজ চর্বি উচ্চমাত্রায় থাকে। মিষ্টি, কোলা ও লেমনের মতো গ্যাসীয় বুদবুদকে পানীয় চিনির দিক দিয়ে উচ্চমাত্রায়। আমরা যখন অধিক পরিমাণে চর্বি জাতীয় খাদ্য খাই, তখন আমাদের দেহগুলো চর্বি কণায় রূপান্তরিত করে এবং অধিক পরিমাণে চিনি আমাদের দাঁত ও ত্বককে নষ্ট করে দিতে পারে। ফাস্টফুড কখনো সুষম খাদ্যের মধ্যে পড়ে না। ফাস্টফুডে আমাদের জন্য দরকারি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে। ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের দেহ স্কুলকায় হয়ে পড়ে।

উপরের আলোচনা থেকে অনুধাবন করা যায় যে, প্রমার খাবারের মধ্যে বৃহস্পতিবারের খাবার স্বাস্থ্য রক্ষায় অধিকতর সহায়ক।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে আমার ২৪ ঘন্টার রুটিনঃ

সময়কাজ
সকাল ৫:৩০ঘুম থেকে ওঠা।
সকাল ৫:৩০-৫:৪৫ফজরের নামাজ আদায় করা।
সকাল ৫:৪৫-৬:৩০বাড়ির ভেতরে হাটাহাটি ও শরীরচর্চা করা।
সকাল ৬:৪০-৮:০০পড়ালেখা করা।
সকাল ৮:০০-৮:৩০সকালের খাবার খাওয়া।
সকাল ৮:৩০-৯:০০বাড়ির কাজ করা।
সকাল ৯:০০-১০:০০পড়ালেখা করা।
সকাল ১০:০০-১১:০০বাইরের কাজ করা।
সকাল ১১:০০-১১:৩০ফল খাওয়া।
সকাল ১১:৩০-১২:০০অবসর।
দুপুর ১২:০০-১২:৩০গোসল করা
দুপুর ১২:৩০-১:১৫ জোহরের নামাজ আদায়।
দুপুর ১:১৫-২:০০দুপুরের খাবার খাওয়া
দুপুর ২:০০-৩:০০পড়ালেখা করা।
দুপুর ৩:০০-৪:০০অবসর।
বিকাল ৪:০০-৪:৩০ঘরের কাজ করা।
বিকাল ৪:৩০-৪:৪৫আসরের নামাজ আদায়।
বিকাল ৪:৪৫-৬:০০বাড়ির ভেতরে খেলাধুলা করা।
সন্ধ্যা ৬:১৫-৬:৩০মাগরিবের নামাজ আদায়।
সন্ধ্যা ৬:৩০-৮:০০পড়ালেখা করা।
রাত ৮:০০-৮:৩০রাতের খাবার খাওয়া।
রাত ৮:৩০-৯:০০অবসর।
রাত ৯:০০-১০:০০টেলিভিশন দেখা।
রাত ১০:০০-৫:৩০ঘুমনো।

এ্যাসাইনমেন্টে  বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ

এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনামঃ

গদ্য (প্রবন্ধ)

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ

বই পড়া (প্রমথ চৌধুরী)

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারনী কাজঃ

অনুচ্ছেদ রচনা:- ’স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব’

অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত নির্দেশনাঃ

’বই পড়া’ প্রবন্ধটির আলোকে শিক্ষার্থীরা অনুচ্ছেদটি রচনা করবে। প্রয়োজনে ‘বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মির্তি’ বই থেকে অনুচ্ছেদ লেখার নিয়ম অনুসরণ করবে।

মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ

ক. অতি উত্তমঃ 

  • ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা
  • ২. পাঠ্যপুস্তকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ
  • ৩. লেখায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা

খ. উত্তম 

  • ১. বিষয়বন্তর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা
  • ২. পাঠ্যপুস্তকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ
  • ৩. লেখায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা

গ. ভালো 

  • ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব
  • ২. পাঠ্যপুস্তকের সাথে আংশিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ
  • ৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা

ঘ. অগ্রগতি প্রয়োজান

  • ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব
  • ২. পাঠ্যপুস্তকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়
  • ৩. লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব

৯ম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা ১ম সপ্তাহ ২০২১ সমাধান ‘স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব’

‘স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব’

বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক টলস্টয় এর একটি বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে ”জীবনে মাত্র তিনটি জিনিসের প্রয়োজন বই বই এবং বই”। আসলে টলস্টয় ই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন সেই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটির। বই আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বলা হয়ে থাকে যে “আপনি যখন একটি বই খুলবেন, আপনি একটি নতুন বিশ্ব খুলবেন”। আমি বিশ্বাস করি যে বই মানবজাতির জন্য অনিবার্য হয়ে উঠায় সবাই এই বিবৃতিতে একমত হবেন। বেশিরভাগ মানুষের কাছে বইগুলি তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। একটি বই একজন সেরা বন্ধুর মতো যা আপনার কাছ থেকে কখনও দূরে সরে যাবে না।

বিখ্যাত লেখক, কবিরা তাদের সমস্ত আবেগ, চিন্তাভাবনা এবং অভিজ্ঞতা পুস্তকআবদ্ধ করেছেন যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী হয়ে রবে। বইগুলির ধন অক্ষয়, কারণ তারা ক্রমাগত আমাদের জন্য শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং দর্শনের সোনার সন্ধান করে। বই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে জ্ঞান দেয় যা শেষ পর্যন্ত সভ্যতার অগ্রযাত্রায় সহায়তা করে।

বই জ্ঞান দিয়ে ভরপুর, একটি সুখী জীবনের অন্তর্দৃষ্টি, জীবনের পাঠ, প্রেম, ভয়, প্রার্থনা এবং সহায়ক পরামর্শ। আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি বুদ্ধিজীবীরা যদি তাদের জ্ঞানগুলো নথিভুক্ত না করতেন তবে কী হত? সেগুলি ছাড়া আজকে আমরা কিই বা জানতাম।

বই পড়ার মাধ্যমে আমরা নিজেকে নতুন জিনিস, নতুন তথ্য, নতুন ধারণা, কোনও সমস্যা সমাধানের নতুন উপায়, নিজেকে উন্নত করা, কল্পনাশক্তিকে উন্নত করতে  এবং লক্ষ্য অর্জনের নতুন উপায় খুজে পেতে পারি।। বই আপনাকে শখগুলি আবিষ্কার করতে বা আপনি পছন্দ করেন না এমন জিনিসগুলি অন্বেষণে সহায়তা করতে পারে।

স্ব-উন্নতি বই পড়া থেকে শুরু হয়, বই পড়ার মাধ্যমে আপনার ভবিষ্যতে আরও ভাল বোঝার এবং আরও ভাল সিদ্ধান্ত নেওয়া সুযোগ তৈরি হয়। তই বলা যায় যে “আপনি যত বেশি পড়বেন, তত বেশি পড়াবেন”। বই বিহীন একটি বাড়িকে জানালা বিহীন একটি বাড়ির সাথে তুলনা করা যায়।

কিন্তু সেই বইকে আলমারিতে আবদ্ধ করে রাখালে হবেনা। বইকে পড়তে হবে এবং এর মধ্যকার রস আস্বাদন করতে হবে। তবেই একজন ব্যক্তি শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারবে। তাইতো প্রমথ চৌধুরী তার বই পড়া পবন্ধে বলেছেন ”সু-শিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত”। আমাদের জ্ঞানচচাঁয় অনভ্যাস যে শিক্ষাব্যবস্থার তুটির জন্য ঘটছে তা সহজেই লক্ষনীয়। আর্থিক অনটনের কারণে অর্থকরী নয় এমন সবকিছুই এদেশে অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য বই পড়ার প্রতি লোকের অনীহা দেখা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া প্রয়োজন । যথাথ শিক্ষিত হতে হলে আমাদের মনের প্রসার দরকার । তার জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে । এর জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। 

বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ৷ যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না। একদিন হয়তো পাথিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনো নিঃশেষ হবে না, তা চিরকাল হৃদয় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালানোর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের মনকে সুস্থ ও আনন্দিত রাখতে পারি। একটি ভালো বই মানুষের মনের চোখ যেমন খুলে দেয় তেমনি জ্ঞান ও বুদ্ধিকে প্রসারিত এবং বিকশিত করে মনের ভিতর আলো জ্বালাতে সাহায্য করে। 

লাইব্রেরীতে  নিজের পছন্দ অনুযায়ী,বই পড়ে যথার্থ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারা যায়। প্রগতিশীল জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সাহিত্য চর্চা করা অত্যাবশ্যক ৷ কেননা, সাহিত্যচর্চা হচ্ছে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ । আর সাহিত্য চচাঁ করার জন্যই আমাদেরকে বই পড়তে হবে। একই সাথে লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠা আবশ্যক । বইয়ের ভেতরে থাকে জ্ঞান অজানা তথ্যের ভান্ডার । যখন আমরা বই পড়বো তখন বইটির ভিতরে থাকা নানা জ্ঞান আমাদের শিক্ষিত করে তুলবে। নন-ফিকশন, বই ই পারে একজন মানুষাকে যথার্থ জ্ঞানবান বানাতে । আর জ্ঞান সবসময় একজন মানুষকে সমৃদ্ধ করে। বই নতুনভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে ও মস্তিষ্ককে চিন্তা করতে উপযোগী করে গড়ে তোলে । 

স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব বইয়ের ভেতরে যে জগতের বর্ণনা থাকে আমরা বই পড়ার মধ্যে দিয়ে সেই জগতটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারি । কখনো বই আমাদের একটি ছোট্র ভেকেশনে নিয়ে যায়। কারন পড়ার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে পারি। বই এর ভিতরে থাকা নতুন জগতের নতুন চিত্র, নতুন বণনা নতুনভাবে উপলব্ধি করতে পারি। ফলে আমাদের মনন জগতের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। শব্দ নিয়েও তাঁর গবেষনা কম থাকে না। আর আমরা বইপড়ার মাধ্যমে সেই শব্দগুলি সহজেই শিখে নিতে পারি । ফলে কথা বলার সময় সেই শব্দগুলি ব্যবহার করে আমরা আমাদের বাচনভঙ্গিকে স্পষ্ট, সুন্দর এবং তাৎপর্যমন্ডিত করতে পারি | আর যে ব্যক্তি অনেক বই পড়ে থাকেন তিনি অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারেন | এতে ব্যক্তিজীবন উন্নত হয় এবং আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। নতুন ভাষা শিখতেও বই পড়া আবশ্যক | সূতরাং, স্বশিক্ষা অর্জনে বই.পড়ার গুরুত্ব নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় “ধন বল, আয়ু বল, অন্যমনস্ক ব্যাক্তির ছাতা বল আর জ্ঞানি ব্যাক্তির বই বল।

Class 9 Bangladesh Global Studies Assignment

Class 9 Bangladesh Global Studies Subject assignment answer download for all students. So students now download Somaj Biggan Science subject right answer. All question answer download form here.

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

শ্রেণিঃ নবম

বিষয়ঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়।

বিভাগঃ বিজ্ঞান

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-১;

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনামঃ প্রথম অধ্যায়ঃ পূর্ব বাংলার আন্দোলন ও জাতীয়তাবাদের উন্থান (১৯৪৭-১৯৭০)

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ

  • ১.১ বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভাষা আন্দোলন-৪
  • ১.২ বাঙালি জাতীয়তাবাদে রাজনৈতিক আন্দোলনের ভূমিকা-৫
  • ১.৩ সামরিক শাসন ও পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ (১৯৫৮-৭০)-৯

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ

১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়। এর মাঝে কোন সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ তােমার মতামত তুলে ধর।

নির্দেশনাঃ

১. উল্লিখিত সালগুলির সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করবে।

২. যে ঘটনাটি মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে তা ব্যাখ্যা করবে।

৩. উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করবে।

৪. নিজস্ব মতামত প্রদান করবে।

মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ

ক. অতি উত্তম:

  • ১. পরিপূর্ণমাত্রায় বিষয়বস্তু সঠিক ও ধারাবাহিক;
  • ২. তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ;
  • ৩. লেখায় লক্ষণীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা;

খ. উত্তমঃ

  • ১. অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু সঠিক ও ধারাবাহিক;
  • ২. তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের সাথে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঙ্গতিপূর্ণ;
  • ৩. লেখায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা বিদ্যমান;

গ. ভালােঃ

  • ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব;
  • ২. লেখায় তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি আংশিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ;
  • ৩. লেখায় সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা বিদ্যমান;

ঘ. অগ্রগতি প্রয়ােজনঃ

  • ১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতার অভাব;
  • ২. লেখায় তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, সূত্র ইত্যাদি সঙ্গতির;
  • ৩. লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা অনুপস্থিত;

নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়। জন্ম নেয় ভারত এবং পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পাকিস্তানের ছিল দুটি অংশ ।পৃববাংলা পাকিস্তানের একটি প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ অংশের নাম পূর্ব পাকিস্তান । অপর অংশটি পশ্চিম পাকিস্তান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পূর্ব বাংলার ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থা পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী নিজেদের করায়ত্ত করতে শুরু করে এবং বৈষম্য সৃষ্টি করে।এর বিরুদ্ধে পূর্ববাংলার জনগণ প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলে। এতিহাসিক ছয় দফার ভিভিতে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে অর্থনৈতিক শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র

প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে। বাংলা ভাষা, ইতিহাস এ্রতিহ্য, সংস্কৃতি ও বাঙালি জাতিগত পরিচয়ে জাতীয় এঁক্য গঠিত হয়। এই জাতীয় এঁক্যই বাঙালি জাতীয়তাবাদ । .

১৯৫২ সাল (ভাষা আন্দোলন)

বাঙ্গালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এক রক্তরঞ্জিত ইতিহাস। ১৯৪৭ সালে কেবলমাত্র ধর্মীয় চেতনাকে পুঁজি করে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির সৃষ্টি হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী চেয়েছিল বাঙালি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিতে। শুধু সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা বিমাতা সুলভ আচরণ করছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র ১৭ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক আবুল কাশেম-এর নেতৃত্বে ১ সেপ্টেম্বর ৩ সদস্য বিশিষ্ট তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয়। এ সংগঠনের অন্য নেতৃদ্বয় ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও শামসুল আলম। সূচনালগ্ন থেকেই এ সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি উত্থাপন করেছিল। ১৯৪৮ সালে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেছিলেন। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্তনিয়েছিল। এ সিদ্ধান্ত জোর করে বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। অথচ উর্দু ভাষাভাষী লোকের সংখ্যা ছিল সমগ্র পাকিস্তানে অনূর্ধ্ব শতকরা ৬.০০ ভাগ। পক্ষান্তরে, বাংলা ভাষাভাষী লোকের সংখ্যা ছিল শতকরা ৫৪.৬ জন।

১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ গঠিত পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগ এর ইশতিহারে রাষ্ট্র ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান হয়।  কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা সফরে এসে ঢাকার রমনা রেসকোর্সের এক জনসভায় ঘোষণা করেন, “Urdu and only Urdu shall be the state language of  Pakistan” অর্থাৎ উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার মাত্র তিন দিন পর  তিনি আবার ঐ ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করেন। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের দাবিতে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।  ধীরে ধীরে আন্দোলন পরিপক্কতার আকার ধারণ করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” ¯েøাগানে ঢাকার রাজপথ মুখরিত হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর তাবেদার পুলিশ বাহিনী গুলি চালায়। ফলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বরকত, সালাম, জব্বার ও রফিক এবং নাম না জানা আরও অনেকে। ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে প্রচন্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। অবশেষে ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের প্রথম সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

১৯৬৬ সাল (ছয় দফা আন্দোলন)

পাকিস্তান’ রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে। লাহোর প্রস্তাবে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হলেও পাকিস্তানে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পূর্ব বাংলার জনগণের উপর শুরু হয় পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতন। ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক বৈষম্য পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে প্রকট আকার ধারণ করে। পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর অপশাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার আন্দোলন তীব আকার ধারণ করে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যদ্ধু শুরু হলে পূর্ব পাকিস্তান সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সামরিক দিক থেকে পূর্ব পাকিস্তানের অসহায় অবস্থা এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির লক্ষে শুরু হয় স্বাধিকারের আন্দোলন। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্র“য়ারি লাহোরে বিরোধী দলের এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উক্ত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’ কর্মসূচি পেশ করেন। ছয় দফা কর্মসূচিকে তিনি ‘পূর্ব বাংলার বাঁচার দাবি’ বলে অভিহিত করেন। বাংলাদেশের জন্য ছয় দফা আন্দোলন এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে  একে ম্যাগনা কার্টা বা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ নামে অভিহিত করা হয়।

১৯৭০ সাল (সাধারণ নির্বাচন)

১৯৭০ সালের নির্বাচন ও একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন বাঙালির জাতিসত্তার প্রেক্ষাপটে জাগরণের শক্তি হিসেবে উদ্ভাসিত হয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দুই আন্দোলনে মানবিক চেতনায়

উদ্দুবদ্ধ হয়ে বাঙালির আত্মজাগরণের জায়গা নির্ধারণ করেছিলেন । এই দুটো জায়গায় নিজের ভূমিকাকে আত্মপ্রত্যয়ী চেতনায় উদ্বদ্ধ করে বাঙালির মানসপটে বিপুলভাবে আত্মজাগরণের দরজা ধা দেন। বাঙালি এুঁক্যবদ্ধ হয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করে। সত্তরের নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান বিপুল সাহসী চৈতন্য ঐক্যবদ্ধ বাঙালির তোরণ উন্মোচন করেন।

রাজনোতিক দল রাজনাতির মাঠের আসর সরগরম করে তোলে । কিন্তু যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না । সেপ্টেম্বর মাসে প্রবল বন্যা হওয়ায় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে । ইয়াহিয়া

খান নির্বাচন পিছিয়ে দেন । জাতীয় পরিষদের ৭ ডিসেম্বর এবং প্রাদেশিক পরিষদের ১৭ ডিসেম্বর দিন

ধার্য করা হয়। ১৯৭০ সালের ১২-১৩ নভেম্বর পূর্ব বাংলার দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড় হয় | প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এই ঘৃর্ণিঝড়ে কোনো সাহায্য করেন নি।

বঙ্গবন্ধু ত্রাণ নিয়ে ত্রাণকাজে নিজেকে যুক্ত করেন। এই ঘটনায় প্রায় ১০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে । ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এলাকায় । এরপর ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আওয়ায়ী লীগ বিজয় লাভ করে।সন্তরের সাধারণ নির্বাচন ছিল বাঙালির প্রাণের জোয়ার | এই জোয়ারের প্রবল ঢেউয়ে সাধারণ মানুষকে মাতিয়ে তোলেন বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমান।

মু্ক্তিযুদ্ধে প্রেরণাকারী ঘটনা।

আমি মনে করি, ১৯৭০ সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নিবচিনে আওয়ামী লীগ নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে ৬ দফা ১১ দফার প্রতি জনগণের অকুষ্ঠ সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় । বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক বিজয় ঘটে । অন্যদিকে, পাকিস্তানের সরকার ও

স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য এটি ছিল বিরাট পরাজয়। তারা বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয়ের পিছনে নির্বাচনের অপরিসীম শুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে । এই নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদের রাজনৈতিক অগ্রযাত্রাকে মুক্তিযুদ্ধের চরিত্র দানে বিশাল ভুমিকা রাখে । পরিণতিতে স্বাধীন-সাবভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভূদ্যয় ঘটে।

© Arefin Masuk. All rights reserved. Premium By FC Themes